বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামায়াতের ৫৫তম মুসলিম গন জমায়েত সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যে ময়দানের প্রস্তুতি মুলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
মুসুল্লিরা দল বেধে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে আখেরি মোনাজাতের আগ পযনত। আয়োজক কমিটির ধারনা গত বারের চেয়ে এবারও কয়েক গুন বেশী মুসুল্লির সমাগম হবে ইজতেমায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইজতেমা ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এবার ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে আট হাজার পুলিশ সদস্য।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে রবিবার। এই পর্বে দিল্লির মাওলানা সাদবিরোধীরা অংশ নেবেন। আর পরের সপ্তাহে ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হওয়া ইজতেমায় অংশ নেবেন সাদপন্থীরা। তাবলিগের আভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে দুই পর্বে ইজতেমা হলেও দুই পক্ষ পৃথক পৃথক ইজতেমা করছে। প্রত্যেক পক্ষই নিজ নিজ ইজতেমাকে মূল বলে দাবি করছে।
ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরই মধ্যে মাঠের প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
১৬০ একর জমির ওপর প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করেছেন।
এছাড়া রাস্তা মেরামত, মাইক টানানো, টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন, ময়দানের আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন আগত মুসল্লিরা।
বিদেশি নিবাস, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় আটটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪টি এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন ও ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ‘বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
২০ লাখ মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।’
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, ‘আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তায় এখানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে। খিত্তায় খিত্তায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় সাড়ে আট হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে।’
ইজতেমা ময়দানের শীর্ষ মুরুব্বি ও শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন জানান, ময়দানের প্রস্তুতিকাজ শেষ হয়েছে।